• ঢাকা বুধবার, ১৮ ডিসেম্বর ২০২৪, ৩ পৌষ ১৪৩১
টপ নিউজ
ছনুয়া ইউনিয়নে নিজ উদ্যোগে রাস্তাঘাট মেরামত কিশোরগঞ্জে দূর্গামন্ডপ পরিদর্শন করলেন সাবেক এমপি বিলকিস ইসলাম পুলপাড় রায়ের বাজার মন্দির পরিদর্শনে বীর মুক্তিযোদ্ধা আবদুস সালাম মালদ্বীপে রফিকুল আলম মজনুকে সংবর্ধনা শারদীয় দুর্গাপূঁজা উপলক্ষে ঢাকেশ্বরী মন্দির পূঁজা মন্ডপ পরিদর্শনে বিএনপি চীফ প্রসিকিউটর বনাম শেখ হাসিনার মামলার ৫৪তম সাক্ষ্যগ্রহণ আজ মেধা কাজে লাগালে বিশ্বে স্বনামধন্য হওয়া যায় - আবদুস সালাম হোয়াটসঅ্যাপের নতুন চমক ‘শিডিউল কল’ ঢাকেশ্বরী জাতীয় মন্দিরের পূজা প্রস্তুতি পরিদর্শন করেছেন প্রধান উপদেষ্টা প্রতিভাবান খেলোয়াড়দের দায়িত্ব রাষ্ট্র নেবে: আমিনুল হক

জাতিসংঘের মানবাধিকার মিশন স্থাপন নিয়ে ব্যাখ্যা দিল সরকার

   ১৯ জুলাই ২০২৫, ০৩:০৪ পি.এম.
প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং। ছবি: সংগৃহীত

নিজস্ব প্রতিবেদক

জাতিসংঘের মানবাধিকার বিষয়ক হাইকমিশনারের কার্যালয় (OHCHR)-এর সঙ্গে বাংলাদেশের মানবাধিকার মিশন স্থাপন সংক্রান্ত তিন বছরের সমঝোতা স্মারক (MoU) সই হয়েছে। এ নিয়ে দেশের বিভিন্ন মহলে উদ্বেগ দেখা দিলেও সরকার জানিয়েছে, এই মিশনের উদ্দেশ্য শুধু গুরুতর মানবাধিকার লঙ্ঘন প্রতিরোধ, জবাবদিহিতা নিশ্চিতকরণ এবং প্রশিক্ষণ ও কারিগরি সহায়তা প্রদান।

শনিবার (১৯ জুলাই) প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং থেকে পাঠানো এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, এই মিশন মানবাধিকার সুরক্ষা ও উন্নয়নে সরকারের প্রচেষ্টাকে সহযোগিতা করবে। সরকারি ও বেসরকারি প্রতিষ্ঠানকে প্রশিক্ষণ ও কারিগরি সহায়তার মাধ্যমে জাতীয় ও আন্তর্জাতিক মানবাধিকার বাধ্যবাধকতা পালনে সহায়তা করাই এর মূল লক্ষ্য।

২০২৪ সালের জুলাই-আগস্টে সংঘটিত গুরুতর মানবাধিকার লঙ্ঘনের পরিপ্রেক্ষিতে সরকার জবাবদিহি ও কাঠামোগত সংস্কারের ধারাবাহিক অঙ্গীকারের অংশ হিসেবেই এ উদ্যোগ নিয়েছে।

বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়, বাংলাদেশের সমাজব্যবস্থা শক্তিশালী সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য ও ধর্মীয় বিশ্বাসের ওপর প্রতিষ্ঠিত। এই বাস্তবতা উপেক্ষা করে কোনো আন্তর্জাতিক অংশীদারিত্ব গ্রহণযোগ্য নয়—এমন মতই দিয়েছেন দেশের বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ।

সেই প্রেক্ষাপটে সরকার স্পষ্ট করেছে, জাতিসংঘের এই মিশন কেবলমাত্র গুরুতর মানবাধিকার লঙ্ঘনের প্রতিরোধ ও জবাবদিহিতা নিশ্চিতে কাজ করবে। এটি দেশের আইনি, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক কাঠামোর বাইরে কোনো সামাজিক এজেন্ডা বাস্তবায়নের চেষ্টা করবে না।

সরকার আরও বলেছে, জাতিসংঘ এ বিষয়ে পূর্ণ স্বচ্ছতা বজায় রাখবে এবং স্থানীয় অংশীজনদের সঙ্গে সমন্বয় করে কাজ করবে। যদি কোনো সময় এই মিশনের কার্যক্রম জাতীয় স্বার্থের সঙ্গে অসামঞ্জস্যপূর্ণ হয়, তবে বাংলাদেশ সার্বভৌম কর্তৃত্বের ভিত্তিতে চুক্তি থেকে সরে আসার অধিকার রাখে।

প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, পূর্ববর্তী সরকারের আমলে যদি এমন কোনো মানবাধিকার কার্যালয় থাকত, তাহলে বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ড ও গণহত্যার মতো অপরাধগুলোর সঠিক তদন্ত ও বিচার সম্ভব হতো।

বিবৃতিতে আরও বলা হয়েছে, মানবাধিকারের প্রতি অঙ্গীকার কেবল আদর্শিক নয়, বরং তা হবে ন্যায় ও বাস্তবতার ভিত্তিতে। এই অংশীদারিত্বকে একটি সুযোগ হিসেবে বিবেচনা করা হচ্ছে—যার মাধ্যমে আইনের শাসন, নাগরিক অধিকার ও প্রাতিষ্ঠানিক সক্ষমতা বৃদ্ধি পাবে।

ভিওডি বাংলা/ডিআর

  • দেশজুড়ে এর পাঠক প্রিয়
আরও পড়ুন
৫ দিনের সফরে ঢাকায় যুক্তরাজ্যের বাণিজ্য দূত
৫ দিনের সফরে ঢাকায় যুক্তরাজ্যের বাণিজ্য দূত
প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে বৌদ্ধ ধর্মীয় নেতাদের শুভেচ্ছা বিনিময়
প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে বৌদ্ধ ধর্মীয় নেতাদের শুভেচ্ছা বিনিময়
রাষ্ট্রপতির ছবি পুনঃস্থাপন চেয়ে আইনি নোটিশ
রাষ্ট্রপতির ছবি পুনঃস্থাপন চেয়ে আইনি নোটিশ