ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় টানা তৃতীয় দিনের মতো সিএনজি অটোরিক্সার ধর্মঘট পালিত


মঙ্গলবার (২৯ জুলাই) ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা সিএনজি চালিত অটোরিকশা মালিক -শ্রমিক সমিতির ডাকা ধর্মঘটের টানা ২য় দিন আজ অতিবাহিত হয়েছে। কোথাও কোন অপ্রীতিকর ঘটনার খবর পাওয়া যায়নি। আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর উপস্থিতি ছিল চোখে পড়ার মতো। উল্লেখ্য যে, তিন দফা দাবী আদায়ের জন্য গতকাল থেকে সিএনজি চালিত অটোরিকশা মালিক - শ্রমিক সমিতি অনির্দিষ্টকালের জন্য ধর্মঘট আহবান করে।তাদের দাবীগুলো হলো-
(১) হাইওয়ে পুলিশের নিকট আটককৃত সকল সিএনজি চালিত অটোরিকশা বিনা শর্তে ছেড়ে দিতে হবে,
(২) ঢাকা-সিলেট মহাসড়ক ব্যতীত সর্বত্র সিএনজি চালিত অটোরিকশা চলাচলের সুযোগ দিতে হবে ও
(৩) ট্রাফিক হয়রানি ও নির্যাতন বন্ধ করতে হবে।
যাত্রী সাধারণের অধিকাংশই ব্যাটারি চালিত অটোরিকশায় যাতায়াত করতে দেখা যায়। অনেককে পায়ে হেঁটে চলাচল করতে ও দেখা গেছে।যাত্রী সাধারণের অভিযোগ, ব্যাটারি চালিত অটোরিকশাগুলো ভাড়া দিগুণ করে নিচ্ছেন।
ধর্মঘটের কারণে সবচেয়ে বেশি ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে এইচএসসি পরীক্ষার্থীদের, বয়স্ক ও অসুস্থ মানুষদের।
সিএনজি চালিত অটোরিকশা না থাকাতে রাস্তা-ঘাট অনেকটাই ফাঁকা,যানজট নাই বললেই চলে।সাধারণ পথচারীদের অনেককেই বলতে শোনা যায়,সিএনজি চালিত অটোরিকশার বিকল্প খুঁজতে হবে।তবে অভিজ্ঞ মহল মনে করেন,সরকারের পক্ষ থেকে দায়িত্বশীল কর্তৃপক্ষ এবং মালিক-শ্রমিক সমিতির নেতৃবৃন্দরা আলাপ-আলোচনার মাধ্যমে চলমান সংকট নিরসন করতে পারেন।
এ ব্যাপারে জানতে চাইলে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা পুলিশ সুপার , জনাব এহতেশামুল হক জানিয়েছেন , আন্দোলনরত সিএনজি অটোরিক্সা মালিক সমিতির সংগঠনের নেতৃবৃন্দের সাথে জরুরী মিটিং ডাকা হয়েছে। আশা করি তাদের সাথে ফলপ্রসূ আলোচনার মাধ্যমে ধর্মঘট প্রত্যাহার করা হবে।
ভিওডি বাংলা/ এমএইচ