রাজশাহীতে তিন বার জায়গা বদল করেও ভাঙনের মুখে স্কুল


১৯৭৮ সালে প্রতিষ্ঠিত হয় স্কুলটি। নদী ভাঙনের জেরে ১৯৯৮ সালে স্থানান্তর করা স্কুলটি। এরপর ২০১২ ও ২০১৮ সালে ভাঙনের জেরে ফের স্কুলটি স্থানান্তর করা হয়। তিন বার স্থানান্তর হওয়া স্কুলটি ফের ভাঙনের মুখে। ইতোমধ্যে স্কুলের মাঠ ও চারটি টিনের ঘর নদী গর্ভে বিলীন হয়ে গেছে। এতে বিপাকে পড়েছে শিক্ষার্থী, শিক্ষক ও অভিভাবকেরা। ঘটনাটি রাজশাহীর বাঘা উপজেলার চকরাজাপুর হাইস্কুলের।
জানা গেছে, পদ্মা নদীর ভাঙনের তিন বার স্থানান্তর হওয়া স্কুলটি ফের ভাঙনের কবলে পড়েছে। স্কুল রক্ষার্থে শিক্ষার্থী ও শিক্ষকেরা জোর চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন। মাটি কেটে বস্তা ভর্তি করে নদী পাড়ে ফেলছে তারা।
চকরাজাপুর হাইস্কুলের সহকারী প্রধান শিক্ষক গোলাম মোস্তফা বলেন, ভাঙনে স্কুলের মাঠ ও টিনের ঘর পদ্মায় বিলীন হয়ে গেছে। যে কোনো সময় পাকা ভবন বিলীন হয়ে যাবে। এ অবস্থা দেখে শিক্ষার্থীরা মাটি কেটে বস্তা ভর্তি করে স্কুলটি রক্ষা করার চেস্টা করছেন। ভাঙনের ভয়ে শিক্ষার্থীরা ক্লাসে মন দিতে পারছে না।
চকরাজাপুর হাইস্কুলের প্রধান শিক্ষক আবদুস সাত্তার বলেন, এই স্কুলে মোট শিক্ষার্থী রয়েছে ৫৩৭ জন। স্কুলের চার কক্ষের টিনের ঘর সরিয়ে নিয়েছি। তিন কক্ষবিশিষ্ট পাকা ভবন ও টিনের আরও চারটি কক্ষ ভাঙনের মুখে রয়েছে।
চকরাজাপুর ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান আজিজুল আযম বলেন, ভাঙনের কারণে চকরাজাপুর, কালিদাসখালী, লক্ষ্মীনগর মৌজার চিহ্ন হারিয়ে গেছে। বর্তমানে এগুলোর স্থান বলতে কিছু নেই। সম্পূর্ণটা নদীগর্ভে চলে গেছে।
তিনি আরও বলেন, ভাঙনে চকরাজাপুর চরের শতাধিক বাড়িঘর ও শত শত বিঘা জমিতে রোপণ করা আমবাগান, কুলবাগান, পেয়ারাবাগান, শাকসবজিসহ বিভিন্ন ফসলি পদ্মার গর্ভে বিলীন হয়ে গেছে।
ভিওডি বাংলা/ এমএইচ