শেখ হাসিনা দেশে মাফিয়া তন্ত্র প্রতিষ্ঠা করে ছিলো: ফখরুল ইসলাম


বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, অর্থনীতিকে লুট-পাট, বিদেশে টাকা পাচার, ব্যাংক লুঠ, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান গুলোকে ছাত্রলীগের সন্ত্রাসীদের অভয়ারন্যে পরিণত করেছে। শেয়ার বাজার লুঠ করেছিল, মাফিয়া তন্ত্র প্রতিষ্ঠা করেছিল। অত্যাচার, নির্যাতন, হত্যা, গুম, খুনের মধ্য দিয়ে সেই সংগ্রাম ও আন্দোলনকে দমন করতে চেয়েছে। বিএনপি এর ৬০ লক্ষ নেতা-কর্মীর বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা, দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে ও ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানসহ সকল শীর্ষ নেতৃবৃন্দের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলায় গ্রেফতার, মিথ্যা মামলায় সাজা, নিত্যদিনের ঘটনা হয়ে দাঁড়িয়েছিলো।
বুধবার (০৬ আগস্ট) চেয়ারপার্সন কার্যালয়, গুলশানে সংবাদ সম্মেলন মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর এ কথা বলেন।
তিনি বলেন, দীর্ঘ ১৬ বৎসর এই দেশের মানুষ এক ভয়াবহ ফ্যাসিষ্ট সরকারের বিরুদ্ধে লড়াই করেছে, সংগ্রাম করেছে, প্রাণ দিয়েছে শহীদ হয়েছে আহত হয়েছে, গুম হয়েছে, গণতন্ত্র উদ্ধারের জন্য। ফ্যাসিষ্ট হাসিনা সরকার পরিকল্পিতভাবে এদেশের মানুষের ভোটের অধিকার কেড়ে নিয়ে তিনটি নির্বাচনকে প্রহসনে পরিণত করে গণতন্ত্রকে ধ্বংস করেছে। একদলীয় শাসন ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠার জন্য করার জন্য সকল নির্যাতন মূলক পন্থা বেছে নিয়েছে। রাষ্ট্রের সকল প্রতিষ্ঠান গুলোকে দলীয় করণ করেছিল । রাষ্ট্র যন্ত্রকে সেই লক্ষে অস্ত্র হিসাবে ব্যবহার করেছে।
ফখরুল ইসলাম বলেন, দেশনেত্রী খালেদা জিয়া মিথ্যা সাজানো মিথ্যা মামলায় ১০ বৎসর সাজা দিয়ে, ৬ বৎসর কারাগারে আটক করে রেখেছিল। ৫ আগষ্ট মুক্তি পেয়েছেন। ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানসহ অনেক নেতাকে আজীবন কারাদন্ড প্রদান করে বিরোধী নেতাদের বিভিন্ন মেয়াদের সাজা দিয়ে কারাগারে প্রেরণ করেছে। মৃত্যুদন্ড দিয়েছে, কারাগারেই অনেকে মৃত্যুবরণ করেছে।
মির্জা বলেন, বিএনপি এই ঘোষণা পত্রকে স্বাগত জানায়। বিএনপি বিশ্বাস করে এই ঘোষণা পত্রে রাজনৈতিক দল গুলো যে অংগীকার করেছে তা পালনের মধ্যদিয়ে এক নতুন গণতান্ত্রিক বাংলাদেশে রূপান্তরের কাজ শুরু হবে। সুযোগ সৃষ্টি হবে একটি সাম্য, মানবিক মূল্যবোধ ও ন্যায় বিচারের ভিত্তিতে সত্যিকারের প্রগতিশীল সমৃদ্ধ বাংলাদেশ নির্মানের প্রক্রিয়া। বিএনপি যে সকল রাজনৈতিক দল, ছাত্র, কৃষক, শ্রমিকসহ সকল স্তরের জনগণ এই সংগ্রামে অংশ নিয়েছে, শহীদ হয়েছে, আহত হয়েছে, পঙ্গু হয়েছে তাদের জানাচ্ছে আন্তরিক কৃতজ্ঞতা, ধন্যবাদ ও অভিনন্দন।
তিনি বলেন, লন্ডনে বিএনপি ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ও প্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর ড. ইউনুসের বৈঠকে নির্বাচনের সময় ২০২৬ এর ফেব্রয়ারি মাসে নির্ধারণের ঘোষণাকে স্বাগত জানাচ্ছে। বিএনপি মনে করে এই ঐতিহাসিক ঘোষণা বাংলাদেশে রাজনৈতিক অচলাবস্থা কাটিয়ে উঠবে এবং গণতন্ত্র উত্তরণের পথকে সুগম করছে।
আসুন আমরা স্বাধীনতার ঘোষক শহীদ জিয়ার স্বপ্নের, সমৃদ্ধ বাংলাদেশ, দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার আজীবনের সংগ্রাম-গণতান্ত্রিক বাংলাদেশ, তরুণ নেতা তারেক রহমানের আধুনিক, মানবিক, গণতান্ত্রিক বাংলাদেশ গড়ে তুলি। জনগণের আশা-আকাংখা পুরন করি।
ভিওডি বাংলা/ এমএইচ