পুকুরিয়ায় অসহায় মহিলার বসতঘর ভাঙচুরের অভিযোগ


চট্টগ্রামের বাঁশখালীতে জায়গা-জমি ক্রয়কে কেন্দ্র করে বসতঘর ভাঙচুর ও বসতভিটায় থাকা ফলজ-বনজ গাছ কেটে ফেলার অভিযোগ পাওয়া গেছে।
উপজেলার পুকুরিয়া ইউনিয়নের ৭নং ওয়ার্ডের চড়ার কূল মজিদীয়া কমপ্লেক্সের পাশে আমির হোসাইন এর বাড়িতে এ ঘটনা ঘটে।
ভুক্তভোগী ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, নদীভাঙনে পূর্বের বসতঘর বিলীন হয়ে যাওয়ার পর প্রায় ২৮ বছর আগে পরিবারটি ওই স্থানে বসবাস শুরু করে। পরবর্তীতে তারা বসতঘরের পাশের একটি জায়গা ক্রয় করেন। জায়গা ক্রয়কে কেন্দ্র করে ১৭ই আগষ্ট সকাল সাড়ে ৯টার দিকে একটি সংঘবদ্ধ সন্ত্রাসী দল অতর্কিতভাবে তাদের বসতভিটায় প্রবেশ করে বসতঘর ভাঙচুর করে এবং বিভিন্ন প্রজাতির ফলজ ও বনজ গাছ কেটে ফেলে।
এসময় ভুক্তভোগী আমির হোসেনের পুত্রবধূ নাজমা আক্তার বাধা দিলে তাকে লাঞ্ছিত করা হয়। তিনি অভিযোগ করে বলেন, “হঠাৎ হৈচৈ শুনে ঘর থেকে বের হতেই দেখি ৭০-৮০ জন লোক দা কিরিচ নিয়ে হামলা ও ভাঙচুর চালাচ্ছে। আমি বাঁধা দিতে গেলে আমার ওড়না ও মোবাইল ফোন ছিনিয়ে নেয়। দেশে আমাদের কোনো নিরাপত্তা নেই। আমরা প্রশাসনের কাছে ন্যায়বিচার চাই।”
এ ঘটনায় স্থানীয়দের মধ্যে তীব্র ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে। তারা জানান, জায়গা-সম্পত্তি সংক্রান্ত বিরোধ আদালত বা প্রশাসনের মাধ্যমে নিষ্পত্তি হওয়া উচিত। কিন্তু এভাবে বসতঘর ভাঙচুর ও গাছ কেটে ফেলা কেবল একটি পরিবারকে ক্ষতিগ্রস্ত করছে না, বরং পরিবেশ ও প্রকৃতিকেও হুমকির মুখে ফেলছে।
ভুক্তভোগী পরিবার বিষয়টি প্রশাসনকে অবহিত করেছেন এবং বাঁশখালী থানায় নালিশী অভিযোগ দায়ের করেছেন বলে জানা যায়।
বাঁশখালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সাইফুল ইসলাম বলেন, ঘটনার বিষয়ে আমরা একটা অভিযোগ পেয়েছি তা তদন্ত পূর্বক সত্যতা যাচাই করে দোষীদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
ভিওডি বাংলা/ এমএইচ