• ঢাকা বুধবার, ১৮ ডিসেম্বর ২০২৪, ৩ পৌষ ১৪৩১
টপ নিউজ
ছনুয়া ইউনিয়নে নিজ উদ্যোগে রাস্তাঘাট মেরামত কিশোরগঞ্জে দূর্গামন্ডপ পরিদর্শন করলেন সাবেক এমপি বিলকিস ইসলাম পুলপাড় রায়ের বাজার মন্দির পরিদর্শনে বীর মুক্তিযোদ্ধা আবদুস সালাম মালদ্বীপে রফিকুল আলম মজনুকে সংবর্ধনা শারদীয় দুর্গাপূঁজা উপলক্ষে ঢাকেশ্বরী মন্দির পূঁজা মন্ডপ পরিদর্শনে বিএনপি চীফ প্রসিকিউটর বনাম শেখ হাসিনার মামলার ৫৪তম সাক্ষ্যগ্রহণ আজ মেধা কাজে লাগালে বিশ্বে স্বনামধন্য হওয়া যায় - আবদুস সালাম হোয়াটসঅ্যাপের নতুন চমক ‘শিডিউল কল’ ঢাকেশ্বরী জাতীয় মন্দিরের পূজা প্রস্তুতি পরিদর্শন করেছেন প্রধান উপদেষ্টা প্রতিভাবান খেলোয়াড়দের দায়িত্ব রাষ্ট্র নেবে: আমিনুল হক

ভাঙ্গুড়ায় ভুয়া শাখায় ৫ শিক্ষক নিয়োগ

ভাঙ্গুড়া (পাবনা) প্রতিনিধি    ২ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ০৭:৩৮ পি.এম.
ছবি: ভিওডি বাংলা

পাবনার ভাঙ্গুড়া উপজেলার ভাঙ্গুড়া জরিনা রহিম বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ে ভুয়া শাখা দেখিয়ে পাঁচজন শিক্ষক দীর্ঘ এক যুগ ধরে চাকরি করেছেন। এ সময়ে তারা সরকারি কোষাগার থেকে প্রায় দেড় কোটি টাকা বেতন তুলেছেন। সম্প্রতি শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের তদন্তে এ অনিয়মের প্রমাণ মেলে।

মন্ত্রণালয়ের নির্দেশে রাজশাহী শিক্ষা বোর্ড যাচাই করে জানায়, বিদ্যালয়ের অতিরিক্ত শাখার অনুমোদনের কাগজপত্র সম্পূর্ণ ভুয়া। এ ঘটনায় মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তরকে (মাউশি) সংশ্লিষ্ট শিক্ষকদের এমপিও সুবিধা বন্ধ এবং নিয়োগদাতা প্রধান শিক্ষক শওকত আলীর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে বলা হয়েছে।

বিদ্যালয়টি ১৯৬৯ সালে প্রতিষ্ঠিত হয়। ১৯৯৭-৯৮ সালে তৎকালীন প্রধান শিক্ষক মোহাম্মদ আলী কিছু শাখার প্রাথমিক অনুমতি নিয়ে শিক্ষক নিয়োগ দেন। তবে অবসরে যাওয়ার আগে শাখাগুলোর চূড়ান্ত অনুমোদন নিশ্চিত করতে পারেননি। ২০০৪ সালে নতুন প্রধান শিক্ষক হিসেবে যোগ দেন মোঃ শওকত আলী। অভিযোগ রয়েছে,তিনি নিয়োগ বাণিজ্যের উদ্দেশ্যে ১৯৯৫ ও ১৯৯৬ সালের রাজশাহী শিক্ষা বোর্ডের ভুয়া অনুমোদনপত্র তৈরি করেন।

এর ভিত্তিতে ২০১২ সালে বিএম গুলজার হোসেন ও রেজাউল করিম এবং ২০১৪ সালে নওশাদুল ইসলাম, একরাম হোসাইন ও সিদ্দিকুর রহমান শিক্ষক হিসেবে যোগ দেন। প্রথমদিকে জেলা শিক্ষা অফিস তাদের এমপিও আটকে দিলেও পরে নানা তদবির ও প্রভাব খাটিয়ে এমপিও সুবিধা নেন তারা। ফলে দীর্ঘ এক যুগে সরকারি কোষাগার থেকে প্রায় দেড় কোটি টাকা বেতন তোলা হয়েছে।

বিতর্কিত প্রধান শিক্ষক

দুর্নীতির অভিযোগে ২০১৭ সালে শওকত আলীকে ম্যানেজিং কমিটি প্রধান শিক্ষক পদ থেকে বহিষ্কার করে। তবে মামলার জটিলতা শেষে চলতি বছরের মে মাসে আদালতের মাধ্যমে তিনি পুনর্বহাল হন। তার বিরুদ্ধে নতুন করে অভিযোগ ওঠায় শিক্ষা মন্ত্রণালয় তদন্তে নামে। তদন্তে ভুয়া অনুমোদনপত্রের সত্যতা নিশ্চিত করেছে রাজশাহী শিক্ষা বোর্ড।

অভিযোগ প্রসঙ্গে ভুয়া শাখায় নিয়োগপ্রাপ্ত শিক্ষক নওশাদুল ইসলাম বলেন, “আমাদের কিছু বলার নেই, যা বলার প্রধান শিক্ষক বলবেন।”

প্রধান শিক্ষক শওকত আলী দাবি করেন, “মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনা এলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।” তবে তিনি দায় চাপান সাবেক প্রধান শিক্ষক মোহাম্মদ আলীর ওপর।

বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি ও ভাঙ্গুড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোছাঃ নাজমুন নাহার বলেন, “মন্ত্রণালয়ের চিঠি পেয়েছি। ম্যানেজিং কমিটির মিটিং-এর মাধ্যমে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

ভিওডি বাংলা/ এমএইচ

  • দেশজুড়ে এর পাঠক প্রিয়
আরও পড়ুন
সাতক্ষীরা শিক্ষকদের ৫ দফা দাবি বাস্তবায়নের সংবাদ সম্মেলন
সাতক্ষীরা শিক্ষকদের ৫ দফা দাবি বাস্তবায়নের সংবাদ সম্মেলন
কিশোরগঞ্জে বিশ্ব শিক্ষক দিবসে শিক্ষকবৃন্দের ৫দফা দাবি
কিশোরগঞ্জে বিশ্ব শিক্ষক দিবসে শিক্ষকবৃন্দের ৫দফা দাবি
গুইমারায় আগুনে ১৯ টি দোকান পুড়ে ছাই
গুইমারায় আগুনে ১৯ টি দোকান পুড়ে ছাই