• ঢাকা বুধবার, ১৮ ডিসেম্বর ২০২৪, ৩ পৌষ ১৪৩১

সাকিবসহ ১৫ জনের দুর্নীতি মামলার প্রতিবেদন ৪ মাস পেছাল

স্পোর্টস ডেস্ক    ২৬ নভেম্বর ২০২৫, ০৩:১৬ পি.এম.
সাকিব আল হাসান-ছবি: সংগৃহীত

দুর্নীতি ও অর্থ আত্মসাৎ করে শেয়ারবাজারে শত কোটি টাকা বিনিয়োগ এবং অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে জাতীয় ক্রিকেট দলের সাবেক অধিনায়ক ও সাবেক সংসদ সদস্য সাকিব আল হাসানসহ ১৫ জনের বিরুদ্ধে করা মামলায় তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের সময় চার মাস পিছিয়েছে।

বুধবার (২৬ নভেম্বর) এ মামলার তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেওয়ার জন্য ধার্য ছিল। তবে এদিন দুর্নীতি দমন কমিশন-দুদক তা জমা দিতে না পারায় ঢাকার মেট্রোপলিটন সিনিয়র স্পেশাল জজ সাব্বির ফয়েজ প্রতিবেদন দাখিলের দিন ২০২৬ সালের ৩ মার্চ ধার্য করেছেন। সেই প্রতিবেদন জমা দিতে চারমাস সময় পেয়েছে দুদক।

আদালতে দুদকের প্রসিকিউশন বিভাগের সহকারী পরিচালক আমিনুল ইসলাম এ তথ্য জানিয়েছেন।

দুর্নীতি ও অর্থ আত্মসাৎ করে শেয়ার বাজারে শত শত কোটি টাকা বিনিয়োগ এবং অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে গত ১৭ মে দুদক প্রধান কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক সাজ্জাদ হোসেন বাদী হয়ে এ মামলাটি দায়ের করেন। পরে ১৬ জুন আদালত তার দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা দেয়।

মামলার অপর আসামিরা হলেন- সমবায় অধিদপ্তরের উপ-নিবন্ধক আবুল খায়ের,তার স্ত্রী কাজী সাদিয়া হাসান, আবুল কালাম মাদবর, কনিকা আফরোজ, মোহাম্মদ বাশার, সাজেদ মাদবর, আলেয়া বেগম, কাজী ফুয়াদ হাসান, কাজী ফরিদ হাসান, জাভেদ এ মতিন, জাহেদ কামাল, হুমায়ূন কবির ও তানভির নিজাম।
 
মামলার এজাহারে বলা হয়েছে, তারা নিজেদের স্বার্থ সংশ্লিষ্ট বিও (বেনিফিশিয়ারি ওনার্স) অ্যাকাউন্টসমূহে অসাধু, অনৈতিক ও অবৈধ উপায়ে ফাটকা ব্যবসার মত ধারাবাহিক লেনদেন, প্রতারণামূলক সক্রিয় লেনদেন, ফাটকা ও অনুমাননির্ভর লেনদেনের মাধ্যমে বাজারে কারসাজি করত। তারা একটি সংঘবদ্ধ চক্র গঠন করে নির্দিষ্ট কিছু শেয়ারে ধারাবাহিকভাবে ক্রয়-বিক্রয়ের মাধ্যমে কৃত্রিমভাবে দাম বৃদ্ধি করে প্রতারণার মাধ্যমে সাধারণ বিনিয়োগকারীদের সেই শেয়ারগুলোতে বিনিয়োগে প্রলুব্ধ করত। এর ফলে সাধারণ বিনিয়োগকারীরা ব্যাপকভাবে আর্থিক ক্ষতির শিকার হন এবং চক্রটি ২৫৬ কোটি ৯৭ লাখ ৭০ হাজার ৩০৪ টাকারও বেশি আত্মসাৎ করে, যা অস্বাভাবিক মূলধন লাভ হিসেবে উপস্থাপন করা হলেও প্রকৃতপক্ষে ছিল অপরাধলব্ধ অর্থ। এর মধ্যে মো. আবুল খায়ের (ওরফে হিরু) শেয়ারবাজার থেকে তোলা অর্থ থেকে ২৯ কোটি ৯৪ লাখ ৪২ হাজার ১৮৫ টাকা তার স্ত্রী কাজী সাদিয়া হাসানের সহায়তায় বিভিন্ন খাতে স্থানান্তরের মাধ্যমে ‘মানি লন্ডারিং’ করেন।

হিরুর নামে থাকা ১৭টি ব্যাংক অ্যাকাউন্টে ৫৪২ কোটি ৩১ লাখ ৫১ হাজার ৯৮২টাকার ‘অস্বাভাবিক, অযৌক্তিক এবং সন্দেহজনক লেনদেন হওয়ার কথাও বলা হয়েছে মামলার এজাহারে। সেখানে বলা হয়েছে, হিরুর কারসাজি করা প্যারামাউন্ট ইন্স্যুরেন্স লিমিটেড, ক্রিস্টাল ইন্স্যুরেন্স লিমিটেড এবং সোনালী পেপারস লিমিটেডের শেয়ারে সাকিব আল হাসান বিনিয়োগ করেন।

এজাহারে আরও অভিযোগ করা হয়েছে, হিরুর কারসাজিকৃত তিনটি প্রতিষ্ঠানের শেয়ারে সাকিব বিনিয়োগ করেন এবং প্রায় ৩ কোটি টাকার মতো অপরাধলব্ধ অর্থ রিয়ালাইজড ক্যাপিটাল গেইনের নামে উত্তোলন করেন।

ভিওডি বাংলা/জা

 

  • দেশজুড়ে এর পাঠক প্রিয়
আরও পড়ুন
‘বাংলাদেশের দর্শকদের সামনেই শেষ ম্যাচ খেলতে চাই’ : সাকিব
‘বাংলাদেশের দর্শকদের সামনেই শেষ ম্যাচ খেলতে চাই’ : সাকিব
এশিয়া কাপের জন্য বাংলাদেশ দল ঘোষণা
এশিয়া কাপের জন্য বাংলাদেশ দল ঘোষণা
বাংলাদেশ অনূর্ধ্ব–১৭ দলে খেলা আরহাম এবার অস্ট্রেলিয়া দলে
বাংলাদেশ অনূর্ধ্ব–১৭ দলে খেলা আরহাম এবার অস্ট্রেলিয়া দলে