হাদির কবরে শ্রদ্ধা জানাতে আজও মানুষের ঢল

জুলাই গণঅভ্যুত্থানের সম্মুখযোদ্ধা ও ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শরিফ ওসমান হাদিকে শনিবার (২০ ডিসেম্বর) ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় মসজিদ সংলগ্ন জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামের সমাধির পাশে সমাহিত করা হয়েছে। বিকালে তাকে সমাহিত করার পর থেকেই সেখানে মানুষ ভিড় জমাচ্ছেন।
রোববার (২১ ডিসেম্বর) সকাল থেকেই ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় মসজিদ সংলগ্ন জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামের সমাধিসৌধের পাশে হাদির নবনির্মিত কবরে ভিড় জমাচ্ছেন ছাত্র-জনতা।
সরেজমিনে দেখা যায়, কেউ একা, আবার কেউ পরিবার নিয়ে দূর-দূরান্ত থেকে এসেছেন বিপ্লবীর শেষ বিদায়ের স্থানটি দেখতে। কবরের পাশে দাঁড়িয়ে অনেকেই নীরবে অশ্রু বিসর্জন দিচ্ছেন, কেউবা হাত তুলে দোয়া করছেন। দর্শনার্থীদের চোখে-মুখে একদিকে যেমন শোকের ছায়া, অন্যদিকে খুনিদের প্রতি তীব্র ক্ষোভ ও বিচারহীনতার বিরুদ্ধে দাবি স্পষ্ট।
মিরপুর থেকে আসা বেসরকারি চাকরিজীবী আব্দুল আহাদ বলেন, ‘শহীদের রক্তে কেনা এই বাংলাদেশে কোনো আধিপত্যবাদী শক্তির জায়গা হবে না। ভারত কেন খুনিদের আশ্রয় দিচ্ছে? খুনিদের দ্রুত দেশে ফিরিয়ে এনে দৃষ্টান্তমূলক বিচার করতে হবে।’ দর্শনার্থীরা জানান, হাদির এই আত্মত্যাগ বৃথা যেতে দেওয়া হবে না।
গত ১২ ডিসেম্বর নির্বাচনী প্রচারণাকালে রাজধানীর পুরানা পল্টনের বক্স কালভার্ট সড়কে চলন্ত মোটরসাইকেল থেকে দুর্বৃত্তরা রিকশায় থাকা ওসমান হাদিকে গুলি করে। পরে আশঙ্কাজনক অবস্থায় দ্রুত তাকে ঢাকা মেডিকেলের জরুরি বিভাগে নেওয়া হয়।
এরপর পরিবারের ইচ্ছায় তাকে রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়। পরে ১৫ ডিসেম্বর দুপুরে উন্নত চিকিৎসার জন্য এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে করে সিঙ্গাপুরে নেওয়া হয় ওসমান হাদিকে। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ১৮ ডিসেম্বর তিনি মারা যান।
এরপর শুক্রবার তার মরদেহ ঢাকায় আনা হয় ও শনিবার বাদ জোহর জানাজা শেষে তাকে জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামের সমাধির পাশে সমাহিত করা হয়েছে।
ভিওডি বাংলা/জা



