• ঢাকা বুধবার, ১৮ ডিসেম্বর ২০২৪, ৩ পৌষ ১৪৩১

এনসিপি'র প্রেস বিজ্ঞপ্তির প্রতিবাদ জানালো ইশরাকের আইনজীবী

   ১ মে ২০২৫, ১২:৪২ পি.এম.
ছবি: সংগৃহীত

আদালত প্রতিবেদক

বিজ্ঞ প্রথম যুগ্ম জেলা ও নির্বাচনী ট্রাইব্যুনাল এবং নির্বাচন ট্রাইব্যুনালে নির্বাচনী মামলা নং ১৫/২০২০ এর বিগত ২৭/০৩/২০২৫ ইং তারিখে রায় ঘোষণা উক্ত মামলার বাদী ইশরাক হোসেন এবং নির্বাচন কমিশন ও শেখ ফজলে নূর তাপস সহ মোট ৯ জনকে বিবাদী করে অত্র মামলাটি দায়ের করেছিলেন। দীর্ঘ প্রায় ৫ বছরের আইনি লড়াই শেষে বিজ্ঞ আদালত রায় ঘোষণা করেন। অত্র মামলা নিয়ে জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি) এর উদ্বেগ অপ্রাসঙ্গিক, উদ্দেশ্যপ্রণোদিত এবং বিচার বিভাগের প্রতি অশ্রদ্ধা এবং অবমাননার শামিল। 

উক্ত মামলায় শেখ ফজলে নূর তাপস বিজ্ঞ আইনজীবী নিয়োগের মাধ্যমে মামলায় প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন এবং মামলার জবাব দেন এবং একপর্যায়ে মামলা খারিজ এর জন্য দরখাস্ত করেন। বিজ্ঞ আদালত তৎকালীন স্বৈরাচারী আওয়ামী লীগ সরকারের আমলেই উভয়পক্ষের শুনানীঅন্তে শেখ ফজলে নূর তাপসের আবেদন নামঞ্জুর করেন। সেই আদেশে অসন্তুষ্ট হইয়া বিবাদীপক্ষ মহামান্য হাইকোর্টে রিভিশন দায়ের করিয়া দীর্ঘদিন মামলাটি আটকে রাখে, যার ফলে দীর্ঘ প্রচেষ্টার পরেও তাপসের সরাসরি হস্তক্ষেপে মামলা হাইকোর্টে শুনানি বার বার পিছিয়ে যায় এবং শুনানী না করিয়া ফেলে রাখে। ফলে বিবাদীপক্ষ প্রতিদ্বন্দ্বিতা করা ও জবাব দাখিল করা স্বত্বেও মোকদ্দমাটি দীর্ঘদিন অনিস্পন্ন থাকিয়া যায়।

বৃহস্পতিবার ১ মে ইঞ্জিনিয়ার ইশরাক হোসেনের পক্ষে তার আইনজীবী মোঃ রফিকুল ইসলাম গণমাধ্যমে পাঠানো এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ প্রতিবাদ জানান।

প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, মামলাটি ৫ ই আগস্টের পর দেশের বিচার ব্যবস্থা আওয়ামী সরকারের রাহু মুক্ত হওয়ায় মহামান্য হাইকোর্ট রিভিশন খারিজ করিয়া নিম্ন আদালতে দ্রুত নিস্পত্তির জন্য প্রেরণ করিলে, নির্বাচনী ট্রাইব্যুনাল পুনঃরায় মামলাটির শুনানি শুরু করেন। বাদীপক্ষে দেওয়ানী কার্যবিধির ৬ নং আদেশের ১৭ নং নিয়ম মতে আরজি সংশোধন এর দরখাস্ত দাখিল করিয়া সংশ্লিষ্ট আইনের ধারাটি সংশোধন করিয়া স্থানীয় সরকার (সিটি কর্পোরেশন) নির্বাচন বিধি মালা ২০১০ এর বিধি-৫৯ এর (খ) উপবিধি অনুযায়ী প্রার্থিত প্রতিকার চাওয়া হয়, যাহা বিজ্ঞ আদালত আইন অনুযায়ী মঞ্জুর করেন। এন.সি.পি আইনের ব্যাখ্যা এবং আইন সম্পর্কে অজ্ঞ থাকায় তারা আইনের ভুল ব্যাখ্যা দিয়ে জাতিকে বিভ্রান্তি করছে, একই সাথে বিজ্ঞ আদালতের আদেশকে অবমাননা করিতেছেন এছাড়া মামলা দ্রুত নিষ্পত্তি কারণ নিয়ে এনসিপির বক্তব্য একেবারেই শিশুসুলভ।

আইনের শাসন প্রতিষ্ঠায় যে কোন মামলায় দ্রুত নিষ্পত্তির বিজ্ঞ আদালতের একটি সহজাত ক্ষমতা, তাহাছাড়া ২০২০ সালে দায়েরকৃত মামলাটি ২০২৫ সালে নিস্পত্তি হইয়াছে যাহাতে দীর্ঘ ৫ বছরের অধিক সময় অতিক্রান্ত হইয়াছে, যাহা মোটেও সংক্ষিপ্ত সময় নয়। বরং মোকদ্দমাটি আরো পূর্বেই নিস্পত্তি হওয়া প্রয়োজন ছিল। একটি নির্বাচনা মামলার নিষ্পত্তি সংক্ষিপ্ত সময়ের হওয়া উচিত। এনসিপির এজাতীয় বক্তব্য আদালত অবমাননার শামিল । এছাড়া এ সংক্রান্ত যে বক্তব্য দিয়েছে তার সম্পূর্ণ আইনী অজ্ঞতার বহিঃপ্রকাশ। মামলার তদবির কারক বাদীর ইচ্ছা অনুযায়ী যে কেউ হতে পারে বিধায় বিজ্ঞ আদালত হলফনামা গ্রহণ করেছে, যাহা সম্পূর্ণ আইন মেনেই করা হয়েছে। এছাড়া আদালত কোন প্রকার বিচার বিশ্লেষণ করেনি বলে যে বক্তব্য এনসিপি দিয়েছে তা এক কথায় তাদের জ্ঞানের স্বল্পতারই বহিঃপ্রকাশ এবং আদালত অবমাননার শামিল। 

আদালত যেকোন রায় ডিগ্রী দেওয়ার ক্ষেত্রে যথাযথ আইন মেনেই রায় প্রদান করেন, এক্ষেত্রে কেউ যদি ন্যায় বিচার হয়নি বলে মনে করে তাহলে উচ্চ আদালতে আপিল করিবার সুযোগ আছে এবং তাহার বক্তব্য উক্ত উচ্চ আদালতে রাখিবারও সুযোগ আছে। এভাবে প্রেস নোট দিয়ে বক্তব্য প্রদান দেশের জনগনকে বিভ্রান্ত করা ও বিজ্ঞ আদালতকে অবমাননা ছাড়া কিছুই নয়। যেহেতু উক্ত রায়ের কপি সংশ্লিষ্ট সকল দপ্তরের সহিত আইন মন্ত্রণালয়েও প্রেরিত হইয়াছে এবং নির্বাচন কমিশন যথাযথ আইনি প্রক্রিয়া খতিয়ে দেখে, উক্ত রায়ে কোন অসামঞ্জস্যতা না পাওয়ার পরই, আইন মন্ত্রণালয়ে উক্ত রায়ের আইনী বিষয় যাচাই করিয়া দেখার জন্য পাঠাইলে আইন মন্ত্রণালয় আইনী দিক দেখার পর উক্ত রায়ে কোন প্রকার আইনী অসঙ্গতি না থাকায় পুনরায় নির্বাচন কমিশনে ফাইল পাঠালে নির্বাচন কমিশন যথাযথ নিয়ম মেনেই জনাব ইশরাক হোসেনকে মেয়র হিসাবে ঘোষণা করে গেজেট প্রকাশ করেন। এক্ষেত্রে বাংলাদেশের জনগণকে ভুল ব্যাখ্যা দিয়ে ভুলভাল বুঝিয়ে জনগণকে বিভ্রান্ত করা হতে আমাদের বিরত থাকাই শ্রেয়। এ জাতীয় নেক্কারজনক কাজ হতে বিরত থেকে গণতন্ত্র আইনের শাসন প্রতিষ্ঠা এবং ভোটাধিকার সর্বোপরি জনগণের ভোটের অধিকার সহ বিজ্ঞ আদালতের প্রতি সম্মান প্রদর্শনের জন্য এনসিপির প্রতি অনুরোধ রইল। দীর্ঘ রক্তক্ষয়ী আন্দোলন ও সংগ্রামের পর অর্জিত রাহুগ্রাস মুক্ত বিচার ব্যবস্থাকে আরও প্রশ্নবিদ্ধ করার সকল ষড়যন্ত্রকে রুখে দেয়ার জন্য দেশবাসীর প্রতি আমাদের আকুল আবেদন রহিল।

ভিওডি বাংলা/ এমএইচ

  • দেশজুড়ে এর পাঠক প্রিয়
আরও পড়ুন
খায়রুল হকের ফাঁসির দাবিতে উত্তাল হাইকোর্ট
খায়রুল হকের ফাঁসির দাবিতে উত্তাল হাইকোর্ট
সারজিসের বিরুদ্ধে ১০ কোটি টাকার মানহানি মামলা
সারজিসের বিরুদ্ধে ১০ কোটি টাকার মানহানি মামলা
শমী কায়সারকে জামিন দিলেন হাইকোর্ট
শমী কায়সারকে জামিন দিলেন হাইকোর্ট