• ঢাকা বুধবার, ১৮ ডিসেম্বর ২০২৪, ৩ পৌষ ১৪৩১
টপ নিউজ
ছনুয়া ইউনিয়নে নিজ উদ্যোগে রাস্তাঘাট মেরামত কিশোরগঞ্জে দূর্গামন্ডপ পরিদর্শন করলেন সাবেক এমপি বিলকিস ইসলাম পুলপাড় রায়ের বাজার মন্দির পরিদর্শনে বীর মুক্তিযোদ্ধা আবদুস সালাম মালদ্বীপে রফিকুল আলম মজনুকে সংবর্ধনা শারদীয় দুর্গাপূঁজা উপলক্ষে ঢাকেশ্বরী মন্দির পূঁজা মন্ডপ পরিদর্শনে বিএনপি চীফ প্রসিকিউটর বনাম শেখ হাসিনার মামলার ৫৪তম সাক্ষ্যগ্রহণ আজ মেধা কাজে লাগালে বিশ্বে স্বনামধন্য হওয়া যায় - আবদুস সালাম হোয়াটসঅ্যাপের নতুন চমক ‘শিডিউল কল’ ঢাকেশ্বরী জাতীয় মন্দিরের পূজা প্রস্তুতি পরিদর্শন করেছেন প্রধান উপদেষ্টা প্রতিভাবান খেলোয়াড়দের দায়িত্ব রাষ্ট্র নেবে: আমিনুল হক

নির্বাচন ইস্যুতে ডিসেম্বর ও জুনে তেমন পার্থক্য নেই- এসএমএ ফায়েজ

   ৩১ মে ২০২৫, ০৮:১৯ পি.এম.
ছবি: সংগৃহীত

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক

রাজনৈতিক দলগুলোর দাবি মেনে বর্তমান অর্ন্তবর্তী সরকার আগামী নির্বাচনের স্পষ্ট রোডম্যাপ ঘোষণা করলে বর্তমান পরিস্থিতি কিছুটা শান্ত হবে বলে মন্তব্য করেছেন বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশনের চেয়ারম্যান ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপচার্য ড. এসএমএ ফায়েজ। তিনি বলেন, সরকার রোডম্যাপ না দিলে আমরাই ঘোষণা করবো- এমন মানসিকতা থেকে বিএনপিকেও বের হয়ে আসতে হবে। 

শনিবার (৩১ মে) রাজধানীর কাকরাইলের ইনস্টিটিউশন অব ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার্সে এক অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব বলেন। ‘গণতন্ত্র, নির্বাচন ও সংস্কার; আশু করণীয়’ শীর্ষক সেমিনারের আয়োজন করে পলিসি ম্যানেজমেন্ট অ্যান্ড রিসার্চ সোসাইটি (পিএমআরএস)। 

আলোচনায় এস এম এ ফায়েজ বলেন, নির্বাচন ও সংস্কার নিয়ে দেশের সবচেয়ে বড় দল বিএনপিসহ অন্য রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে সরকারের মতানৈক্য এখন দৃশ্যমান। তবে আমি বলতে চাচ্ছি আরেকটু ধৈর্যে র পরীক্ষা দিলে কি আমাদের ক্ষতি হবে? সবাইকে আরো বেশি ভাবতে হবে। বিএনপির উচিত নির্বাচন নিয়ে আরো বেশি আলোচনা করা। ডিসেম্বর ও জুনের মধ্যে তেমন পার্থক্য নেই। আলোচনার মাধ্যমে এ দূরত্ব কমানো সম্ভব। 

এস এম এ ফায়েজ বলেন, শুরুতে সবাই ড. ইউনূসকে সাদরে গ্রহণ করলেও আমরা অতি দ্রুত আস্থার জায়গা থেকে তাকে সরিয়ে দিচ্ছি না তো? তবে এ কথা ভুলে গেলে চলবে না জুলাই-আগস্টের গণঅভ্যুত্থান বিএনপির গত ১৫ বছরের আন্দোলন সংগ্রামের ফসল। শুধু ছাত্ররা নয় এখানে সর্বসাধারণ অংশ নিয়েছিল। আমাদের উচিত ভবিষ্যত প্রজন্মের জন্য হলেও নিজেদের পরিবর্তন করা। আরো ধৈর্যের পরীক্ষা দেওয়া।  

সেমিনারে অধ্যাপক ড. মাহাবুব উল্লাহ বলেন, দেশের সংস্কার দরকার আছে। বর্তমান অর্ন্তবর্তী সরকার যখন দায়িত্ব নেয় তখন কোনো এজেন্ডা ছিল বলে মনে পড়ছে না। এখন শুনছি সংস্কার, বিচার ও নির্বাচন- এই তিনটি তাদের এজেন্ডা। এসব নিয়েই এখন রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে বিতর্কের সৃষ্টি হয়েছে। 

অধ্যাপক মাহাবুব উল্লাহ বলেন, আমরা গণতন্ত্রে বিশ্বাসী, কোনো সামারি ট্রায়ালে না। এজন্য বিচার আবশ্যক। বিগত সরকারের আমলের অন্তত চার-পাঁচজন অপরাধীর বিচারের রায় না দিয়ে নির্বাচন দিলে ভালো লাগবে না। আমরা চাই দেশে সত্যিকারের ভিন্নমতের রাজনীতি চালু হোক, এটাই গণতন্ত্র। 

কিছুটা আক্ষেপ নিয়ে অধ্যাপক মাহাবুব বলেন, লিডারশিপ ক্রাইসিস আমাদের বড় সমস্যা। তাছাড়া দেশে নানা ষড়যন্ত্র বিদ্যামান। সম্প্রতি শীর্ষ সন্ত্রাসী সুব্রত বাইন ও মোল্লা মাসুদের গ্রেপ্তারের পর আশ্চর্যজনক তথ্য আমরা পাচ্ছি। এদেরকে নিয়ে ভারতীয় গোয়েন্দা সংস্থা ‘র’ ষড়যন্ত্র করছে। রাজনৈতিক দলের নেতাসহ গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিদের হত্যাকাণ্ডের মাধ্যমে দেশে সিভিল ওয়ার তৈরির চেষ্টা চলছে।  

অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ কামরুল আহসান বলেন, সংস্কার একটি চলমান প্রক্রিয়া। এটি করার দায়িত্ব অবশ্যই নির্বাচিত সরকারের। বর্তমান অর্ন্তবর্তী সরকার প্রয়োজনীয় কিছু সংস্কার করতে পারে। কিন্তু এটা নিয়ে বিতর্ক সৃষ্টি করার সুযোগ নেই। তিনি বলেন, সরকারকে জনগণের ভাষা বুঝতে হবে। ৪ কোটি নতুন ভোটার গত ১৫ বছরে ভোট দিতে পারেনি। এরাও সংস্কারের অংশ। তারা ভোটাধিকার ফেরত পেতে চায়। 

সাংবাদিক এম এ আজিজ বলেন, আপনারা লিখে রাখেন, ৭১ এর চেতনা বা স্বপ্ন যেমন পূরণ হয়নি তেমনি ২৪ এর চেতনাও বাস্তবায়ন হবে না। তখন ছিল শেখ মুজিব, এখন ইউনূস। বাধা প্রায় একই রকম।

এম এ আজিজ বলেন, অনির্বাচিত সরকার কখনো দেশের সংবিধান সংশোধন করার নৈতিক ক্ষমতা রাখে না। এটা করতে পারে শুধুমাত্র নির্বাচিত রাজনৈতিক সরকার। তাছাড়া নির্বাচন নিয়ে বিভিন্নভাবে জলঘোলা হচ্ছে। এনসিপি, জামায়াত নির্বাচনের বিপক্ষে। তবে জামায়াত খেলে ভালো কিন্তু গোল পায় না। সুষ্ঠু নির্বাচন হলে আগামীতে বিএনপি সরকার গঠন করবে। 

রাজনৈতিক বিশ্লেষক মাহাদী আমিন বলেন, সংস্কার ও নির্বাচনকে মুখোমুখি দাঁড় করানো হয়েছে। এখন যেসব সংস্কারের কথা বলা হচ্ছে তা বিএনপির রাষ্ট্র মেরামতের ৩১ দফায় উল্লেখ রয়েছে। দ্বি-কক্ষ বিশিষ্ট পার্লামেন্ট, এক ব্যক্তি দুই  বারের বেশি প্রধানমন্ত্রী হতে পারবেন না- এসব ব্যাপারে বিএনপি আগে থেকেই কথা বলছে। 

মাহাদী আমিন বলেন, সবচেয়ে বড় সংস্কার হলো ১৬ বছর পর মানুষের ভোটাধিকার ফেরত পাওয়া। একটা দীর্ঘকাল দেশের সাধারণ মানুষ ভোট দিতে পারেনি। তারা এখন ভোটাধিকার ফেরত চায়। মানুষের কাছে মৌলিক অধিকার ফিরে পাওয়াটা সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। সুষ্ঠু ভোটের মাধ্যমে বিএনপি আগামীতে ক্ষমতায় গেলে মেধাভিত্তিক, বৈষম্যহীন বাংলাদেশ গড়ে তুলবে।    

সেমিনারে প্রধান আলোচক ছিলেন রাজনৈতিক বিশ্লেষক অধ্যাপক ড. মাহবুব উল্লাহ। কি-নোট উপস্থাপন করেন পিএমআরএসের চেয়ারম্যান ও সাবেক সচিব মো. ইসমাইল জবিউল্লাহ। এছাড়া আলোচক ছিলেন জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ কামরুল আহসান, সিনিয়র সাংবাদিক ও রাজনৈতিক বিশ্লেষক এম এ আজিজ ও রাজনৈতিক বিশ্লেষক ড. মাহাদী আমিন। সভাপতিত্ব করেন পিএমআরএসের ভাইস-চেয়ারম্যান বিজন কান্তি সরকার।  

ভিওডি বাংলা/ এমপি/ এমএইচ

  • দেশজুড়ে এর পাঠক প্রিয়
আরও পড়ুন
জুলাই জাতীয় সনদ বাস্তবায়নে রাজনৈতিক ঐক্য: আলী রীয়াজ
জুলাই জাতীয় সনদ বাস্তবায়নে রাজনৈতিক ঐক্য: আলী রীয়াজ
৫ দিনের সফরে ঢাকায় যুক্তরাজ্যের বাণিজ্য দূত
৫ দিনের সফরে ঢাকায় যুক্তরাজ্যের বাণিজ্য দূত
প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে বৌদ্ধ ধর্মীয় নেতাদের শুভেচ্ছা বিনিময়
প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে বৌদ্ধ ধর্মীয় নেতাদের শুভেচ্ছা বিনিময়