• ঢাকা বুধবার, ১৮ ডিসেম্বর ২০২৪, ৩ পৌষ ১৪৩১

মিথ্যা ও উসকানিমূলক বক্তব্য প্রচারের পরও সেন্সর করিনি : প্রেস উইং

   ৮ আগস্ট ২০২৫, ১০:০৮ পি.এম.
ছবি: সংগৃহীত

সম্প্রতি সংবাদপত্র মালিক সমিতি (নোয়াব) বাংলাদেশে গণমাধ্যমের স্বাধীনতা ও তথ্যপ্রাপ্তির পরিস্থিতি নিয়ে একটি বিবৃতি দেয়। এর পরিপ্রেক্ষিতে প্রধান উপদেষ্টার উপপ্রেস সচিব আবুল কালাম আজাদ মজুমদার শুক্রবার বিকালে  ফেসবুকে একটি প্রতিক্রিয়া দিয়েছেন। পরে একই প্রতিক্রিয়া শেয়ার করেন প্রেস সচিব শফিকুল আলমও।

আজাদ মজুমদার বলেন, সরকারের বিরুদ্ধে প্রায়ই মিথ্যা ও উসকানিমূলক তথ্য ও বক্তব্য প্রচার করা হয়েছে। তারপরও আমরা না সেন্সর করেছি, না কোনো ব্যবস্থা নিয়েছি। এমনকি আমরা কোনো অভিযোগও করিনি, কারও লাইসেন্সও স্থগিত করিনি।

তিনি বলেন, সম্প্রতি নোয়াব গণমাধ্যমের স্বাধীনতা ও তথ্যপ্রাপ্তি পরিস্থিতি নিয়ে যে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে, আমরা তা স্বীকার করছি। তবে গত এক বছরে ‘অন্তর্বর্তী সরকার মতপ্রকাশের স্বাধীনতা বা গণমাধ্যমের স্বাধীনতা ক্ষুণ্ণ করেছে’- নোয়াবের এমন ইঙ্গিত আমরা দৃঢ়ভাবে ও স্পষ্টভাবে প্রত্যাখ্যান করছি।

অ্যাক্রেডিটেশন ব্যবস্থার সংস্কার নিয়ে নোয়াবের সমালোচনা ভিত্তিহীন ও বিভ্রান্তিকর। আগের পদ্ধতিটি ছিল মারাত্মকভাবে দুর্নীতিগ্রস্ত; প্রবেশপত্র এমন ব্যক্তিদের হাতে পৌঁছেছিল যাদের কোনো বৈধ সাংবাদিকতার ভূমিকা ছিল না। যাদের মধ্যে কিছু ছিল রাজনীতিবিদ, লবিস্ট ও সুযোগসন্ধানী, যারা এই বিশেষ সুবিধা ব্যবহার করে নীতিনির্ধারণ প্রক্রিয়ায় অন্যায্য প্রভাব বিস্তার করত।

আমরা সেই ভাঙা কাঠামো ভেঙে দিয়ে একটি অস্থায়ী পাস ব্যবস্থা চালু করেছি যা নিশ্চিত করছে যে প্রকৃত সাংবাদিকরা সচিবালয়ে প্রবেশাধিকার পাচ্ছেন। এটি প্রবেশাধিকার সীমিত করার জন্য নয়, বরং একটি দুর্নীতিগ্রস্ত প্রক্রিয়ায় স্বচ্ছতা ফিরিয়ে আনার জন্য।

আগের অ্যাক্রেডিটেশন নীতিমালায় সাংবাদিকদের সরকারপন্থি অবস্থান নিতে বাধ্য করার শর্ত ছিল। এমনকি এতে কিছু অপমানজনক ধারা ছিল যা সাংবাদিকদের সাংবিধানিক অধিকারের পরিপন্থি। অন্তর্বর্তী সরকার সেটি সংশোধন করেছে। দীর্ঘমেয়াদি নবায়ন সুবিধাসহ নতুন অ্যাক্রেডিটেশন কার্ড প্রদানের প্রক্রিয়া চলছে।

স্পষ্ট করে বলা প্রয়োজন, যেসব সাংবাদিক তাদের চাকরি হারিয়েছেন, তা সরকারের নির্দেশে নয় বরং গণমাধ্যম মালিকদের সম্পাদকীয় বা করপোরেট কৌশলগত পুনর্বিন্যাসের কারণে হয়েছে। এগুলো সম্পূর্ণরূপে মালিকপক্ষের অভ্যন্তরীণ রাজনৈতিক ও ব্যবসায়িক সিদ্ধান্তের ফল, সরকারের কোনো চাপ বা নির্দেশ নয়।

আমরা সব নাগরিকের মতো সাংবাদিকদের শারীরিক নিরাপত্তা ও মর্যাদা রক্ষায় প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। নিরাপদ পরিবেশ নিশ্চিত করা আমাদের অগ্রাধিকার, তবে এই দায়িত্ব গণমাধ্যম প্রতিষ্ঠানগুলোর সঙ্গেও যৌথভাবে ভাগ করে নিতে হবে।

এই বছরের শুরুর দিকে অন্তর্বর্তী সরকারের অধীনে গঠিত মিডিয়া সংস্কার কমিশন একটি নতুন ‘সাংবাদিক সুরক্ষা আইন’ প্রণয়নের প্রস্তাব করেছে, যাতে আইনি সুরক্ষা বৃদ্ধি পায় এবং সরকার বা আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর ভয়ের কারণে স্ব-সেন্সরশিপ কমে। সরকার প্রস্তাবিত আইনটি প্রণয়নের বিষয়টি বিবেচনা করছে।

ভিওডি বাংলা/ এমএইচ

  • দেশজুড়ে এর পাঠক প্রিয়
আরও পড়ুন
কৃষি খাত দখলের চেষ্টা করছে যুক্তরাষ্ট্র: ফরিদা আখতার
কৃষি খাত দখলের চেষ্টা করছে যুক্তরাষ্ট্র: ফরিদা আখতার
সরকারকে এক মাস সময় দিলেন শিক্ষকরা
সরকারকে এক মাস সময় দিলেন শিক্ষকরা
‘না’ ভোটে বিশেষজ্ঞদের মিশ্র প্রতিক্রিয়া
‘না’ ভোটে বিশেষজ্ঞদের মিশ্র প্রতিক্রিয়া