বাঁশখালীতে জোরপূর্বক জমি বন্ধকের অভিযোগ

চট্টগ্রামের বাঁশখালীতে আদালতে মামলা থাকার পরও জোরপূর্বক জমি বন্ধক দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে প্রতিপক্ষের লোকজনের বিরুদ্ধে।
উপজেলার সাধনপুর ইউনিয়নের ৯ নং ওয়ার্ড দক্ষিণ সাধনপুর মোকামি পাড়া এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, দক্ষিণ সাধনপুর মোকামী পাড়া এলাকার মরহুম আবু নঈম এর ছেলে কামাল আহমদ ও ঐ এলাকার মৃত আব্দুল মজিদ এর ছেলে মোঃ বেদারুল হক ও মৃত জহির উদ্দিন মোহাম্মদ বাবর এর ছেলে মোঃ রিয়াদ গংদের সাথে জমি নিয়ে বিরোধ চলে আসছে।
উক্ত বিরোধের জের ধরে এক পর্যায়ে মরহুম আবু নঈম এর ছেলে কামাল আহমদ বাদী হয়ে বাঁশখালী সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে সি. আর, মামলা দায়ের করতে বাধ্য হন। এতে মৃত আব্দুল মজিদ ছেলে মোঃ বেদারুল হক কে প্রধান আসামি ও মোঃ রিয়াদকে ২ নং আসামি করে মোট ৫ জনের বিরুদ্ধে মামলা করা হয়েছে। মামলা নম্বর ২৫২/ ২০২৫।
মামলা চলমান থাকার পরও রাজনৈতিক প্রভাব কাটিয়ে জহির উদ্দিন মোহাম্মদ বাবর এর ছেলে মোঃ রিয়াদ জোরপূর্বক মামলা চললাম বিরোধপূর্ণ জমিটি বন্ধক দিয়েছে যা একেবারে অন্যায় এবং আইনকে অমান্য করা।
ভুক্তভোগী পরিবার বলেন, আমার দাদার ক্রয়কৃত দীর্ঘ দিন ধরে ভোগ দখল করে আসা জমিতে কাজ কারলে হঠাৎ একই এলাকার মোঃ বেদারুল হক ও মোঃ রিয়াদসহ মামলার আসামিগণ তাদের জমি বলে কাজে বাঁধা প্রদান করেন। পরে জমি নিয়ে বিভিন্ন মানুষের কাছে নানা দরবার সালিশ করিয়েছি। তাতে কোনো কাজ হয় নাই। পরে আদালতে মামলা করি। দায়ের কৃত মামলাটি সঠিক প্রতিবেদনের জন্য বাঁশখালী থানাকে নির্দেশ প্রদান করেন আদালত। পরে বাঁশখালী থানা রামদাস মুন্সি হাট পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের ইনচার্জ তপন কুমার বাকচীকে উক্ত মামলার দায়িত্ব প্রদান করলে। পরে তিনি সরজমিন ঘটনাস্থলে পরিদর্শনে আসলে আসামিরা উল্টো ক্ষিপ্ত হয়ে উঠলেও পুলিশ আসামিসহ উভয় পক্ষকে বিরোধপূর্ণ জমি বৈধ কাগজপত্র দেখাতে বললে বাদী পক্ষ দেখালেও আসামি পক্ষ বৈধ কোন কাজ পত্র দেখাতে পারেনি। এখন তারাই জোর করে উপকূলীয় বেড়িবাঁধ নির্মাণ কৃত প্রতিষ্ঠান হাসান এন্ড ব্রাদার্সকে নাকি বল্ক নির্মাণে মামলা চললাম জমি বন্ধক দিয়েছে। আবার উল্টো আসামি মোঃ রিয়াদ মোবাইলে ফোন করে আমাদের প্রাণনাশের হুমকি ধামকি প্রদান করতেছে।
এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় আইনি ব্যবস্থা নিতে প্রশাসনের প্রতি অনুরোধ করেছেন এই ভুক্তভোগী পরিবার।
হাসান এন্ড ব্রাদার্সের ইনচার্জ স্বপন জানান, আমরা স্থানীয় মোঃ রিয়াদ নামের একজনের কাছ থেকে জায়গার খতিয়ান এবং আইডি কার্ডের মাধ্যমে উক্ত জমিটি বন্ধক নিয়েছি। আমরা জানতাম না কিছুক্ষণ আগে জানতে পারলাম উক্ত জায়গাটি নিয়ে আদালতে মামলা আছে।
এ বিষয়ে মোঃ রিয়াদ বলেন, এই জমিটি আমাদের ক্রয়কৃত জমি। এখানে আমরা কোনো অন্যায় করছি না এবং জোরপূর্বক কারও জমি দখল করছি না। আমরা আইন মেনে কাজ করছি।
এ বিষয়ে বাঁশখালী থানার অফিসার ইন্চার্জ (ওসি) সাইফুল ইসলাম জানান, আদালতে মামলা থাকার পরও জোরপূর্বক কাজ করা অন্যায় আইনকে অমান্য করা। বিষয়টি গুরুত্ব সহকারে দেখা হবে এবং দোষীদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
ভিওডি বাংলা/ এমএইচ







